ঢাবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার , ২৩ নভেম্বর , ২০২৫
ভূমিকম্পজনিত আতঙ্কের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ দিনের ছুটি ঘোষণা করার পর রোববার বিকেল ৫টার মধ্যে সব আবাসিক হল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রভোস্ট কমিটির জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
প্রভোস্ট কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সদস্য-সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—
১. শনিবারের সিন্ডিকেট নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের হল খালি করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রভোস্টদের দেওয়া হয়েছে।
২. হল ছাড়ার সময় শিক্ষার্থীদের মূল্যবান জিনিস সঙ্গে নিতে হবে এবং কক্ষের চাবি প্রশাসনের কাছে জমা দিতে হবে।
৩. প্রতিটি হলের ডাইনিং ও ক্যান্টিন বন্ধ থাকবে।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান সভাপতিত্ব করেন। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ প্রভোস্টরা যুক্ত ছিলেন।
শুক্রবার ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে বিভিন্ন হলে শিক্ষার্থীরা লাফিয়ে পড়ে আহত হন। পরদিন আরও তিন দফা ভূমিকম্পে আতঙ্ক বাড়ায় প্রথমে একদিনের জন্য ক্লাস–পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে সিন্ডিকেট সভায় ১৫ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়।
রোববার সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করলেও অনেকে হলে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন বলেন, “আগামী মাসে চাকরির পরীক্ষা আছে, এখন হলে না থাকলে প্রস্তুতি নিতে পারব না। ঢাকায় থাকার জায়গাও নেই।”
হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলের শিক্ষার্থী কাজী নওশাদ বলেন, “ছুটি যৌক্তিক, কিন্তু হলে না থাকলে পড়া হবে না।”
হলে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। “আনন্দে তো বন্ধ দিইনি। আশা করি শিক্ষার্থীরা পরিস্থিতি বুঝবেন। আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।”