আদালত প্রতিবেদক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: বুধবার , ২৩ এপ্রিল , ২০২৫
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রতিষ্ঠানটির আরও ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলার বিচার কার্যক্রম বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ আপিলের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে তড়িঘড়ি করে মামলাটি প্রত্যাহার করার যে পদক্ষেপ দুদক নিয়েছিল, তা সঠিক ছিল না বলেও পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
গ্রামীণ টেলিকমের ছয় কর্মকর্তা হলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম এবং পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নুরজাহান বেগম ও এসএম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
এর আগে, হাইকোর্ট এই মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ বহাল রেখেছিল, যার বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস।
আদালতে আপিলকারীদের পক্ষ শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং দুদকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান শুনানিতে ছিলেন।
উল্লেখ্য, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের পাওনা লভ্যাংশের তহবিল থেকে প্রায় ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৩০ মে দুদক মামলা করে।
গত বছরের ১২ জুন ঢাকার একটি আদালত তাদের বিরুদ্ধে এই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিবাদীপক্ষের একটি আবেদন গত বছরের ২৪ জুলাই সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আদালতকে এক বছরের মধ্যে মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি করে মামলাটি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করা হয়।
গত ১১ আগস্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক।