প্রতিবেদক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: বুধবার , ১৬ এপ্রিল , ২০২৫
দাবি আদায়ে গত সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন করে আসা সরকারি এবং বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বুধবার সড়ক অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো অচল করে দিয়েছে।
সরকারি এবং বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ (টিএসএস) বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের জোট ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে তারা এ আন্দোলন করছেন।
দাবি আদায়ে ঢাকা ছাড়াও সিলেট, রংপুর, বগুড়া, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জায়গায় একই আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী কোরবান আলী বলেন, "আমাদের মূল দাবি জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের অবৈধ প্রোমোশনের হাই কোর্টেরর রায় বাতিলসহ ক্রাফট ইন্সট্রাকটর পদবি পরিবর্তন ও ওই মামলার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত করতে হবে।
“২০২১ সালের বিতর্কিত ক্রাফট ইন্সট্রাকটর নিয়োগের জন্য রাতের আঁধারে নিয়োগবিধি অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করতে হবে এবং মামলার প্রধান কারিগর ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।"
শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হল–
>> ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদী অব্যাহত রাখা এবং মানসম্মত সিলেবাস ও কারিকুলাম আধুনিক বিশ্বের আদলে প্রণয়ন করা।
>> উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) পদে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) হতে পাস করা শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ আবেদন করতে পারবে না এবং এই পদ সংরক্ষিত করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ছাত্রদের ন্যূনতম ১০ম গ্রেডের বেসিক অর্থাৎ ১৬০০০ টাকা দেওয়া।
>> কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিটি প্রকাশ করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, উপ-পরিচালক, অধ্যক্ষ ও দায়িত্বে থাকা সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলকে দায়িত্ব/নিয়োগ দেওয়া।
>> কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত সকল নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল সকল শূন্য পদে পলিটেকনিক ও টিএসসিতে দক্ষ শিক্ষক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা।
>> ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক বিশ্বের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার গেজেট পাস করতে হবে এবং বর্তমানে প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, নড়াইল, খাগড়াছড়ি) শতভাগ সিট নিশ্চিত করা।