প্রতিবেদক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: শনিবার , ২৬ এপ্রিল , ২০২৫
শিক্ষার্থীরা যেন দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যতে গড়ে তুলতে পারেন, এমন শিক্ষাব্যবস্থা চালুর ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার।
শনিবার বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
সি আর আবরার বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের স্বল্প মেয়াদের মধ্যেই উচ্চশিক্ষার প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।”
তিনি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য
অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ
আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হবে। এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থার গড়ে তোলার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে যেখানে আত্মউন্নয়নের উপযুক্ত পথ হবে, যা হবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উৎকর্ষের সহায়ক হবে।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “এমন শিক্ষা ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি, যেখানে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।”
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি পরিবেশ রক্ষায় নিজেদের অভ্যাসে পরিবর্তন আনার কথা বলেন।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, “ধরুন, এক কোটি মানুষের গাড়ি আছে, এক কোটি ড্রাইভার হর্ন দিলে সরকার কি এক কোটি গাড়ির পেছনে এক কোটি পুলিশ দিতে পারবে? পারবে না।”
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “সুন্দরবন থেকে যখন শিল্প প্রতিষ্ঠান তুলে দেওয়ার কথা হল, তখন বলা হল এখানে ২০ হাজার শ্রমিক কাজ করে। কিন্তু এই ২০ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থানের বিনিময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ হবে- এতে যে পরিমাণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তাদের জীবনরক্ষাকে স্যাক্রিফাইস করতে বলা হবে।”
সমাবর্তন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেন, মন্ত্রণালয়গুলোকে দেশের জনগণের সামনে খুলে দেওয়া হয় না। এখন সময় এসেছে সেগুলোকে তাদের সামনে খুলে দেওয়ার।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তোমরা আমাদের মন্ত্রণালয়ে ইন্টার্নশিপ করতে পারবে৷ এতে তোমাদের দুটো লাভ হবে, বাংলাদেশের প্রশাসন কীভাবে চলে তা জানবে, কর্ম অভিজ্ঞতা পাবে৷”
সমাবর্তনে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির ৫ বিভাগের ৬৮৪ জন শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৯ জন শিক্ষার্থী উপাচার্য পদক পান।