প্রতিবেদক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: সোমবার , ৩ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫
গত ৫০ বছরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষক রাজনীতির নেতিবাচক অভিজ্ঞতাগুলো বিবেচনায় নিয়ে তা বন্ধ করতে সিরিয়াসলি চিন্তা করার পরামর্শ দিয়েছেন বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নে অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণ বিষয়ক টাস্কফোর্সের প্রধান কে এ এস মুর্শিদ।
সোমবার ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে টাস্কফোর্স কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি শিক্ষাঙ্গণে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতির বিষয়টি এ কথা বলেন।
দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে চলমান ধারার ছাত্ররাজনীতি চর্চার অবসান চেয়েছেন তিনি।
বলেছেন, “আমাদের দেশে গত ৫০ বছরে যেভাবে একটা গতানুগতিক স্টুডেন্ট উইংয়ের পলিটিক্স হয়ে আসছে, এটার একটা অবসান ঘটবে বলে আমরা আশা করেছিলাম। এই স্টুডেন্ট পলিটিক্সের দ্বারা খুব বেশি উপকৃত হয়েছি বলে আমি বা টাস্কফোর্স মনে করে না।”
“পলিটিক্সের নামে যেটা হয় সেটা শিক্ষকদের মধ্যে চলে যায়, ছাত্রদের মধ্যে চলে যায় এবং এখানে যে স্পেইসটা তৈরি হয়, সেটা অনেক ‘ক্রুড ইকোনমিক একটা করাপশনের’ জায়গায় চলে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা সেটাই দেখি। কাজেই এই ধরনের স্পেইস কেন থাকবে? কোনো সভ্য দেশে কি আছে নাকি?”
“এর মানে না স্টুডেন্ট পলিটিক্স ইজ ব্যাড। স্টুডেন্ট পলিটিক্যাল পার্টি অ্যালাইনড উইথ ন্যাশনাল পলিটিক্যাল পার্টি, দিজ ইজ হোয়াট উই আর এগেইন্সট। এটা সিরিয়াসলি কনসিডার করা উচিৎ।”
তবে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অধিকারমূলক ও সৃষ্টিশীল কাজে সোচ্চার থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “স্টুডেন্ট পলিটিক্স তো থাকবেই। তাদের মতামত থাকবে, অ্যাক্টিভিজমে থাকবে, তারা স্যোশাল ইস্যুজ, পলিটিক্যাল ইস্যুজ, অন্যান্য সব ইস্যু নিয়ে তারা সোচ্চার হবে। অ্যাক্টিভ একটা পজিটিভ রোল প্লে করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা আচরণবিধি থাকতে হবে। কেমব্রিজ, অক্সফোর্ডে যেরকম আচরণবিধি, আমাদের দেশে সেইরকম হয়ত হবে না, কাছাকাছি কিছু একটা করা যাবে। আচরণবিধি অ্যালাউ করে সে ধরনের স্টুডেন্ট পলিটিক্স, খুবই ভালো কথা যদি থাকে।”
গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গত ১০ সেপ্টেম্বর এই টাস্কফোর্স গঠন করে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদ হন ১২ সদস্যের এই টাস্কফোর্সের সভাপতি। সদস্য সচিব হন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগ) মো. কাউসার আহাম্মদ।