প্রতিবেদক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: বুধবার , ১২ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫
হাই কোর্টের রায়ে নিয়োগ বাতিল হওয়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নির্বাচিত প্রার্থীরা রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
তবে বৃহস্পতিবার ফের শাহবাগে জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণাও দিয়ে রেখেছেন তারা।
আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক মজিবুর রহমান বিডিনিউজকে বলেন, অধিদপ্তরের বার্তায় সন্তুষ্ঠ না হওয়ায় এখনও সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
“উনারা আইন আদালতের বিষয় বলছে, তাও যতটুকু দেখবে-সে আশ্বাস দিয়েছে। কাল (বৃহস্পতিবার) শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি হবে। যোগদান না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি চলবে।”
বুধবার শাহবাগে তৃতীয় দিনের মত অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে বিকালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরমুখী হন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নির্বাচিত প্রার্থীরা।
এখনও সেখানে অবস্থান করছেন তারা। অধিদপ্তরের মূল ফটকে রয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
আন্দোলনকারী প্রার্থীদের নেতা ও ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার প্রার্থী তালুকদার পিয়াস সন্ধ্যায় বলেন, “আমরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। জনদুর্ভোগ হয় এমন কোনো কর্মসূচি বা সড়ক অবরোধ করিনি।
“বুধবার দুপুর পর্যন্ত সরকারকে বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হলে আমরা শাহবাগ থেকে অধিদপ্তরের সামনে এসে অবস্থান নিয়েছি।”
তিনি বলেন, “বুধবার রাতে আমরা অধিদপ্তরের সামনেই থাকব, বৃহস্পতিবার সকালে আমরা শাহবাগে এসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে পারি। আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি কোথায় চলবে তা এখনও নিধারিত হয়নি। সবার সঙ্গে আলোচনা করে রাতে সিদ্ধান্ত নেব।”
এর আগে মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে ‘সড়ক না আটকিয়ে’ শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনরতরা।
বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে কোটায় নির্বাচিত হওয়া ৬ হাজার ৫৩১ জনের ফল বাতিল করে হাই কোর্ট।
একই সঙ্গে আদালত মেধার ভিত্তিতে নতুন করে ফল প্রকাশের আদেশও দেয়। সেদিন রাত থেকেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীরা। ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ইতোমধ্যে আপিল করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।