প্রতিবেদক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: রবিবার , ৯ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, আমাদের দেশে সাক্ষরতার হার কম হওয়ায় মানুষদেরকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিতে যুক্ত করাটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কিভাবে কাজে লাগাতে পারি তা নিয়ে আমরা ভাবছি।
উপদেষ্টা রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় সেগুন বাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অডিটরিয়ামে আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শিক্ষা: যান্ত্রিক স্বয়ংক্রিয়তার যুগে মানবসত্তা ও মানবিক ক্ষমতার স্বকীয়তা, সুরক্ষা এবং বিকাশ" শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল সিদ্দিক জোবায়ের এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা বক্তব্য রাখেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের চিন্তার বাহন হলো ভাষা। আমাদের মুখের ভাষাই আমাদের মূল চিন্তার বাহন। এটার মাধ্যমেই আমরা চিন্তা করি। ভাষাকে আয়ত্ত্ব করা হচ্ছে, চিন্তাকে আয়ত্ত্ব করার প্রথম ধাপ। ভাষাকে আয়ত্ত্ব না করে অন্য কোন ক্ষেত্রেই সে অগ্রগতি অর্জন করতে পারে না। এখন দেশে দেশে জোর দেওয়া হচ্ছে সায়েন্স, টেকনোলজি এবং ম্যাথমেটিক্স এর উপর। আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে শিশুকে মাতৃভাষায় দক্ষ করে তোলা এবং যে ভাষা সে জন্ম থেকে শিখে নেয়। স্কুল তাকে অক্ষরের সাথে পরিচয় করায়।
আমাদেরকে যদি জাতিগতভাবে এগিয়ে যেতে হয়, তাহলে সবাই মিলে এগিয়ে যেতে হবে। যদি আমাদের বৈষম্য বাড়তেই থাকে তাহলে আমরা অন্যদিকে যতই উন্নতি করিনা কেন সেটা খুব স্থায়ী হবেনা। অনবরত সামাজিক সংঘর্ষে তা নষ্ট হয়ে যাবে।