প্রতিবেদক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: সোমবার , ৫ মে , ২০২৫
পদোন্নতিসহ গ্রেড উন্নয়নসহ
বেশ কিছু দাবিতে দৈনিক এক ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
শিক্ষকরা।
সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি
(চাকরিতে প্রবেশ) পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর
গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ দ্রুত
পদোন্নতি দেওয়ার দাবিতে সোমবার থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের
সংগঠনগুলোর মোর্চা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি
চলছে।
শিক্ষক নেতারা বলছেন, আগামী
১৫ মে পর্যন্ত ক্লাসের দিনে এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালনের পর পর্যায়ক্রমে এর ব্যপ্তি
বাডবে।
দীর্ঘদিন ধরে সহকারী শিক্ষকরা
১০ম গ্রেডে বেতন চেয়ে আন্দোলন করছেন। এখন তাদের বক্তব্য, অন্তত শুরুতে ১১তম গ্রেডে
বেতন দিতে হবে। এ ছাড়া চাকরিতে ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা
নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি দিতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব
নেওয়ার পর গত অক্টোবরে প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি গঠন
করা হয়। এর আহ্বায়ক করা হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদকে।
কমিটিতে একজন সদস্য সচিব এবং ৭ জন সদস্য ছিলেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি কমিটি সুপারিশ প্রতিবেদন
জমা দেয়।
কমিটির পক্ষ থেকে, সহকারী
শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদে ১২তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার সুপারিশ
করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে দেওয়া এবং পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক
পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
এরপর গত ২৪ এপ্রিল ১১তম গ্রেডে
বেতন পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে ও ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে
উন্নিত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,
সারা দেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে পৌনে ৪ লাখের
মতো শিক্ষক আছেন। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের বর্তমান বেতন ১১তম গ্রেড। আর সহকারী শিক্ষকদের
বেতন ১৩তম গ্রেড।