প্রতিবেদক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: রবিবার , ৯ মার্চ , ২০২৫
স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য গ্লোবাল আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অ্যাওয়ার্ডস (যা জুনিয়র নোবেল পুরস্কার নামে পরিচিত) বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ একটি একাডেমিক প্রতিযোগিতা। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও প্রবন্ধগুলোকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি মাইকেল ডি. হিগিন্সের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি অলাভজনক সংস্থা প্রতিবছর ২৫টি একাডেমিক বিভাগে একজন বৈশ্বিক (গ্লোবাল) বিজয়ী এবং বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য আঞ্চলিক বিজয়ীকে পুরষ্কার প্রদান করে।
বিভাগগুলো হলো : স্থাপত্য ও নকশা, শিল্প ইতিহাস ও তত্ত্ব, ব্যবসা, রাসায়নিক ও ঔষধ বিজ্ঞান, ধ্রুপদী অধ্যয়ন ও প্রত্নতত্ত্ব, কম্পিউটার বিজ্ঞান, পৃথিবী ও পরিবেশ বিজ্ঞান, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রকৌশল, ইতিহাস, ভাষাতত্ত্ব, আইন, জীবন বিজ্ঞান, সাহিত্য, গণিত ও পদার্থবিদ্যা, চিকিৎসা বিজ্ঞান, সঙ্গীত, চলচ্চিত্র ও থিয়েটার, নার্সিং, ধাত্রীবিদ্যা ও সহযোগী স্বাস্থ্যসেবা, দর্শন, রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, মনোবিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন, সমাজবিজ্ঞান ও সামাজিক নীতি এবং ভিজ্যুয়াল আর্টস।
গ্লোবাল আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫-এর জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া ২০২৪ সালের নভেম্বরে শুরু হয়েছে। চলবে ৬ জুন পর্যন্ত।
এই সময়সীমার মধ্যে আবেদনকারীদের গবেষণা বা প্রবন্ধ নির্ধারিত ফরম্যাটে জমা দিতে হবে।
জমা দেওয়া আবেদনপত্রগুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষাবিদদের একটি দল মূল্যায়ন করে।
৭ জুন থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত একাডেমিক বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে গবেষণার মূল্যায়ন করা হবে। সেপ্টেম্বরের শুরুতে প্রকাশিত হবে প্রতিযোগিতার ফলাফল। বৈশ্বিক বিজয়ী পাবেন বিশেষ সম্মাননা।
এ ছাড়া নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে অনুষ্ঠিত হবে গ্লোবাল সামিট, যেখানে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্বের শীর্ষ মেধাবীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ পাবেন।
গ্লোবাল আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪-এ ভাষাতত্ত্ব বিভাগে এশিয়া অঞ্চলে বিজয়ী হয়েছিলেন হাসান শেখ। বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা (ইএলটি) বিষয়ে স্নাতকোত্তর করছেন।
তিনি বলেন, আবেদনের প্রক্রিয়া সহজ হলেও সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। প্রথমে প্রতিযোগিতার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হয়। এরপর নির্ধারিত ফরম্যাটে গবেষণা বা প্রবন্ধ আপলোড করতে হয় এবং প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে সাবমিশন নিশ্চিত করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সাবধানতার সঙ্গে সব জমা দেওয়া উচিত। নির্দিষ্ট গাইডলাইন ভালোভাবে বুঝে নেওয়া খুব জরুরি। প্রতিটি বিভাগের জন্য নির্ধারিত শব্দসীমা ও কাঠামো আলাদা, তাই আগে থেকেই নির্দেশিকা অনুসারে গবেষণা প্রস্তুত করা উচিত।
গবেষণা অবশ্যই ‘anonymous submission’ হিসেবে জমা দিতে হবে, যেখানে লেখকের পরিচয় গোপন রাখা বাধ্যতামূলক। প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার আগে গবেষণা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না, অন্যথায় আবেদন বাতিল হতে পারে। জমা দেওয়ার আগে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সর্বশেষ নির্দেশিকা দেখে নেওয়া উচিত, যেন কোনো নিয়ম ভঙ্গ না হয়; বলে উল্লেখ করেন হাসান শেখ।