জবি প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: বুধবার , ১৪ মে , ২০২৫
তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশ্যে পদযাত্রার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস ছোড়ে।
এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বিএমইউসহ আশপাশের হাসপাতালে অন্তত ৩০ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
বুধবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ‘লং মার্চ’ শুরু করে। পদযাত্রা গুলিস্তান মাজার গেট ও মৎস্য ভবন এলাকায় পুলিশের বাধা অতিক্রম করে কাকরাইল মসজিদের ক্রসিং মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন, জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন, ঢাকা ট্রিবিউনের জবি প্রতিনিধি সোহান ফরাজি ও দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান। আহত সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন।
আহত শিক্ষক রইছ উদ্দিন বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের এই হামলা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’
পুলিশের ভাষ্য, কাকরাইলের মোড়ে নিরাপত্তার স্বার্থে শিক্ষার্থীদের সামনে এগোতে দেওয়া হয়নি। রমনা জোনের উপকমিশনার মাসুদ বলেন, ‘যমুনার সামনে যাওয়ার সুযোগ নেই। আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
এ ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড়ে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন। শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টরের ওপর হামলারও অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, ‘আমার সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের এই হামলা অমানবিক। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকব।’
উল্লেখ্য আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি—
১. ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন না হওয়া পর্যন্ত আবাসন ভাতা চালু করতে হবে।
২. ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন দিতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে।