অন্যরকম, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: সোমবার , ২০ জানুয়ারী , ২০২৫
প্রকৃতপক্ষে সৌন্দর্য মানে কিন্তু উজ্জ্বল গায়ের রং, দীঘল চুল কিংবা চাকচিক্যের বাহার নয়; বরং সৌন্দর্যের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে অন্তরাত্মার প্রশান্তি। অকৃত্রিম সৌন্দর্যের জন্য জীবনধারা হতে হবে স্বাস্থ্যকর। পুষ্টিকর খাবারদাবার, পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ, ঠিকঠাক ঘুম আর মানসিক শান্তি—যেকোনো একটির ব্যাঘাত ঘটলেই নষ্ট হতে পারে সৌন্দর্য। এসবের বাইরে নিয়মিত খানিকটা যত্নেরও অবশ্য প্রয়োজন হয়।হলুদ দিয়ে তৈরি করা পানীয় নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর। আয়ুর্বেদ মতে, হলুদ এমন এক উপকরণ, যা রক্তের প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতেও সহায়ক। পরোক্ষভাবে ত্বক ও চুলের সুস্থতার জন্য উপকারী। তবে তার মানে কিন্তু এই নয় যে হলুদ মেশানো পানীয় খেলে কারও গায়ের রং বদলে যাবে কিংবা চুল গজাবে। এমনটাই জানালেন হারমনি স্পার আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।সকালে খেতে পারেন হলুদ মেশানো পানিহলুদ এক ইঞ্চি করে কেটে ছোট ছোট টুকরা করে নিন। এক গ্লাস পানি, ৭-৮টি পুদিনাপাতা, এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও সামান্য বিটলবণও নিন। সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে ফেলুন। চাইলে ব্লেন্ড করার আগে এক চা-চামচ মধুও যোগ করতে পারেন। রোজ সকালে নাশতার আধা ঘণ্টা পর পানীয়টি খেয়ে নিন। আপনার ত্বক এবং চুলের সুস্থতা তো বটেই, শরীরের সার্বিক সুস্থতাতেই সহায়ক ভূমিকা রাখবে এই পানীয়।
কিংবা রাতে দুধ-হলুদে তৈরি পানীয়
হলুদ বাটা নিন এক টেবিল চামচ কিংবা এক ইঞ্চি করে ছোট ছোট টুকরা করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এক গ্লাস উষ্ণ দুধের সঙ্গে এই বাটা বা ব্লেন্ড করা হলুদ খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। চাইলে এক চা-চামচ মধুও যোগ করা যেতে পারে। রোজ রাতে ঘুমের আগে খেয়ে নিতে পারেন এই পুষ্টিকর পানীয়।