সেই মাতৃগর্ভ থেকে একসাথে পথ চলা দুই বোন আফসানা ও শাহানা এবার স্নাতক পর্ব শুরু করলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে তারা ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন; ক্যাম্পাসের বর্তমান শিক্ষার্থীদের মাঝে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে তাদের আগমন।
টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর উপজেলার মিলপাড় এলাকায় শিক্ষক দম্পতি বাবা মো. আল-আমীন ও মা আফিয়া আক্তারের ঘরে ২০০৬ সালে আফসানা ও শাহানার জন্ম। খুব কাছাকাছি চেহারার দুই বোন এলাকায়ও বেশি পরিচিতি।
স্কুল জীবন থেকেই একসাথে পড়াশোনা করছেন। সখীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন দুজন। পরে কুমুদিনী সরকারি কলেজেও একসাথে পড়াশোনা করেছেন। এইচএসসি পরীক্ষায়ও তারা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে তারা ভর্তি হয়েছেন রেটিনা মেডিকেল কোচিং সেন্টারে। মেডিকেলে আশানুরূপ ফল না করায় আগামী বছর আরেকবার সুযোগ নিতে চান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে শিফটভিত্তিক ফলাফলে তৃতীয় শিফটের ১ম স্থান অর্জন করেছে সামিয়া জাহান আফসানা। জমজ দুই বোনের অন্যজন সাদিয়া জাহান শাহানা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ‘এ’ ইউনিট এর ভর্তি পরীক্ষায় তৃতীয় শিফটের ৭৬তম হয়েছে।
তাদের বাবা উপজেলা জামায়াতের আমির ও বড়চওনা কুতুবপুর কলেজের অধ্যাপক আল আমীন মিয়া ক্যাম্পাস মিররকে জানান, ছোটবেলা থেকেই তারা পড়াশোনায় অত্যন্ত মনোযোগী ছিল। স্কুল কলেজের শিক্ষকরা তাদেরকে অনেক বড় স্বপ্ন দেখিয়েছেন। এতেই অনুপ্রাণিত হয়ে মেডিকেল সায়েন্সে পড়ার আগ্রহ জন্মে। মেডিকেলে ভর্তি হয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নে এখনো বিভোর তারা। তাদের একজন সামিয়া জাহান আফসানা ইতিমধ্যে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অপেক্ষা তালিকায় রয়েছেন। তবে এবার সুযোগ না পেলেও চিকিৎসক হওয়ার যে স্বপ্ন তারা বুকে লালন করছে, পরের বার কঠোর পরিশ্রম করে সেটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে।
তিনি আরও বলেন, মফস্বল থেকে পড়াশোনা করে বড় হলেও তাদেরকে যে স্বপ্ন শিক্ষকরা দেখিয়েছেন সেদিকেই তারা এগোচ্ছে। আমি চাই তারা মানুষের সেবায় এগিয়ে যাক।