প্রতিবেদক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার , ১৩ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫
বিশিষ্ট নাগরিকের ব্যানারে পলাতক হাসিনার প্রেতাত্মাদের পক্ষে দাঁড়াবার চেষ্টারত সুশীলদের হুঁশিয়ার করে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, এদের প্রতিরোধ করার জন্য রাজপথের ছাত্র-জনতাই যথেষ্ট।
তিনি বলেছেন, “বিশিষ্ট নাগরিকের নামে যারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানোর বৈধতা দিতে চায় তাদের ধ্বংস করার জন্য বাংলাদেশের ছাত্র-জনগণই যথেষ্ট। আর কোনোভাবে যদি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার, ফিরিয়ে নিয়ে আসার চক্রান্ত করা হয়; রাজপথে বাংলাদেশের জনতা জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে আছে।”
বক্তব্যে বিশিষ্ট নাগরিকদের ব্যাখ্যা দেননি আখতার। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে বিশিষ্ট নাগরিক শিরোনামে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছে এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবি।
“আমরা এমন এক রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলছি, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। ন্যায় ও ইনসাফের পলিসিই হবে নতুন বন্দোবস্ত। এখানে আর কোনো বাকশাল ও ফ্যাসিবাদকে জায়গা দেওয়া হবে না। কোনো রাজনৈতিক দল ভারতের তাঁবেদারি করবে, বাংলাদেশের মানুষ তা আর হতে দেবে না।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, “আগে ফ্যাসিস্ট কাঠামো ধ্বংস করতে হবে। এরপর নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য আদর্শ প্রশাসনিক কাঠামো প্রয়োজন। পার্টি গঠনের পাশাপাশি আমরা রাষ্ট্র গঠনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। এর বাস্তবায়নে তরুণ জনগোষ্ঠীকে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে।”
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হোসাইন আহমদ। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত কামরান হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক আইয়ুব করম আলী, আইনজীবী আফরোজ উদ্দিন ও দেলোয়ার হোসেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও জৈবপ্রযুক্তির সেল সম্পাদক শ্যামা দেব, যুগ্ম সদস্যসচিব আল আমীন, সদস্য শওকত আলী, প্রীতম দাশ, দ্যোতি অরণ্য চৌধুরী, নারী সেল সম্পাদক সাদিয়া ফারজানা, নাগরিক কমিটির সিলেটের প্রতিনিধি আব্দুর রহিম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেটের আহ্বায়ক আখতার হোসেন, চা শ্রমিক প্রতিনিধি গীতা রানী বক্তব্য রাখেন।