প্রতিবেদক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার , ১৩ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫
প্রকৃতিতে বসন্ত এসেছে; সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে ভালোবাসা দিবস। বাঙালির অনুষ্ঠানিকতার আরও বড় উপলক্ষ্য শবে বরাত আসছে আগামী কাল শুক্রবার।
পালা পার্বন আর উদযাপনের আয়োজনে ঘুরে বেড়ানো শহরে মানুষগুলোকে কোনো বাঁধায় ঘরে রাখতে পারবে না। চুলের খোপা আর হাতের বালায় গাদা ফুলসহ রংবেরঙের ফুল সাজিয়ে ঘুরে বেড়াবেন নারীরা।
আর সঙ্গীর হাত ধরে লাল পাঞ্জাবি পরা ভদ্র পুরুষদের দেখাও মিলবে বই মেলার অলিগলিতে।
দুদিন আগে থেকেই একুশে বইমেলা, টিএসসিসহ নগরীর বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়- বাসন্তী সাজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তরুণ-তরুণীরা।
উদযাপনে খুব বেশি অশ্লীলতা যেন না ছড়ায় সেজন্য কয়েকদিন ধরে সতর্ক করে যাচ্ছেন ধর্মগুরুরা।আইন শৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহিনীও নানা ঠাঁটবাট দিচ্ছেন। কিন্তু তাতে প্রেমিকের মনে কী ভয় ধরানো যাবে?
আগে ফুলের দোকান হিসাবে বেশি নাম আসতো শাহবাগের। এখনকার চিত্র কিছুটা ভিন্ন। ছোট ছোট ফুলের দোকান এখন সব আবাসিক এলাকায়ই কমবেশি দেখা যায়।
সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে তরতাজা ফুল, বাহারি রঙের গোলাপের অধিক্য বেশি।
ফাগুনের প্রথম দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও। ফলে এদিনটায় বসন্ত উৎসব এসে মিশে যায় ভালোবাসার রঙে। প্রেমিকযুগলকে হাতে হাত রেখে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় মাতাল প্রেমে।
নৃত্যে, বাদ্যে, ছন্দে-গীতে বসন্তকে বরণ করে নিতে অনুষ্ঠান আয়োজনও করে কেউ কেউ। প্রতি বছরের মতোই এবারও ঢাকার তিন জায়গায় বসন্ত উৎসব উদযাপন করতে যাচ্ছে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ।
একুশে বইমেলা এদিন জনসমুদ্র হবে বলে মনে করছেন বইমেলা সংশ্লিষ্টরা। প্রকাশকরাও নতুন বইয়ের পসরা নিয়ে অপেক্ষায় থাকবে বইপ্রেমীদের।
জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট জানান, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলা, পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ্ পার্ক স্মৃতিস্তম্ভ মঞ্চ এবং উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের উন্মুক্ত মঞ্চে হবে এবারের বসন্ত উৎসব।
“শুক্রবার সকাল সোয়া ৭টায় চারুকলার বকুলতলায় আয়োজনের সূচনা হবে বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয়ের ধ্রুপদী সংগীতের সুরে। পরে তিনটি মঞ্চে একযোগে চলবে বসন্ত উৎসব।”
প্রকৃতির আপন নিয়মেই হেমন্তের পর আসে বসন্ত। গাছে গাছে নতুন ফুল, পাতার সমারোহ দেখা যায় এ সময়। কোথাওবা প্রকৃতির ভিন্ন খেয়ালও চোখে পড়ে। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় লিখেছিলেন- ‘ফুল ফুটুক না ফুটুক/আজ বসন্ত’।