ক্রীড়া ডেস্ক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: শনিবার , ৮ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫
ঝড়ের ঠিক আগে প্রকৃতি যেমন থাকে শান্ত, শেষ ওভার শুরুর আগে সেই গ্যালারিও তেমন থমথমে। কিন্তু প্রথম বলটি যখন ছক্কায় উড়িয়ে দিলেন রিশাদ হোসেন, সেই লাল সমুদ্র হয়ে উঠল উত্তাল। গর্জনে প্রকম্পিত চারপাশ। একটু পর এলো কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তটি। আবারও বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন বরিশাল।
গ্যালারি ঠাসা সমর্থকদের উল্লাসে ভাসিয়ে বিপিএলের শিরোপা ধরে রাখল ফরচুন বরিশাল। ফাইনালে শেষ ওভারের ফয়সালায় চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারাল তামিম ইকবালের দল। তখন গ্যালারিকে মনে হচ্ছিল যেন লাল সমুদ্র। ২৪ হাজার দর্শকের মধ্যে বরিশালের সমর্থকই সম্ভবত হাজার বিশেক। প্রায় সবার গায়ে দলের লাল জার্সি।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার চিটাগং ২০ ওভারে তোলে ১৯৪ রান। বরিশাল ম্যাচ শেষ করে চার বল বাকি রেখে। বিপিএলের ফাইনালে সবচেয়ে বেশি রান তাড়ায় জয়ের নজির এটিই।
১২১ রানে জুটিতে চিটাগংকে দারুণ ভিত গড়ে দেন খাওয়াজা নাফে ও পারভেজ হোসেন। বিপিএলের ১১ আসরে ফাইনালে শতরানের উদ্বোধনী জুটি এটিই প্রথম। রানের লড়াইয়ে বরিশালকেও ভালো সূচনা এনে দেন অধিনায়ক তামিম। তার পথ ধরে পরে কাইল মেয়ার্স ও অন্যরা মিলে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের ঠিকানায়।
অষ্টাদশ ওভারে কাইল মেয়ার্স ও মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে একটু কঠিন হয়ে ওঠে বরিশালের কাজ। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন পড়ে ২০ রানের। ১৯তম ওভারে বিনুরা ফার্নান্দোর বলে রিশাদের ছক্কায় আবার সহজ হয়ে ওঠে সমীকরণ। শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৮ রানের। হুসাইন তালাতের প্রথম বলেই ছক্কায় ম্যাচ কার্যত শেষ করে দেন রিশাদই।
তৃতীয় দল হিসেবে বিপিএলে টানা দুটি ট্রফি জিতল বরিশাল। এর আগে এই কৃতিত্ব দেখাতে পেরেছে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। অধিনায়ক হিসেবে টানা দুবার ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে পেরেছিলেন তামিমের আগে শুধু মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ইমরুল কায়েস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চিটাগং কিংস: ২০ ওভারে ১৯৪/৩ (নাফে ৬৬, পারভেজ ৭৮*, ক্লার্ক ৪৪, শামীম ২*, তালাত ০*; মেয়ার্স ৪-০-৩৫-০, আলি ৪-০-২১-১, তানভির ২-০-৪০-০, ইবাদত ৪-০-৩৫-১, নাবি ৪-০-৩৪-০, রিশাদ ২-০-৩৪-০)।
ফরচুন বরিশাল: ১৯.২ ওভারে ১৯৫/৭(তামিম ৫৪, হৃদয় ৩২, মালান ১, মেয়ার্স ৪৬, মুশফিক ১৬, মাহমুদউল্লাহ ৭, নাবি ৪, রিশাদ ১৮*, তানভির ০*; ফার্নান্দো ৪-০-৪২-১, সানি ২-০-১৯-০, শরিফুল ৪-০-৩৪-৪, খালেদ ৪-০-২৯-০, তালাত ৩.৩-০-৪৪-০, নাঈম ২-০-১৮-২)।
ফল: ফরচুন বরিশাল ৩ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: তামিম ইকবাল।
ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট: মেহেদী হাসান মিরাজ।