প্রতিবেদক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার , ৯ জানুয়ারী , ২০২৫
৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় বাদ পড়াদের মধ্য থেকে ফৌজদারি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ না থাকা সাপেক্ষে একটি অংশকে নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমান।
৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় নির্বাচিতদের মধ্যে চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপনে ২২৭ জনকে বাদ রাখা হয়েছিল। এসব চাকরি প্রার্থীদের অধিকাংশই মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
বৃহস্পতিবার সেই আবেদনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো নিয়ে সভা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সভা শেষে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ফৌজদারি অপরাধ, রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ, স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিষ্কৃত হয়েছিল অথবা এমন কোনো হিডেন অপরাধ সে করেছে যেটা সামনে আসছে- এরা ছাড়া অন্যদের নিয়োগপ্রাপ্তি শুধু একটি প্রক্রিয়ার ব্যাপার, তারা এটি পাবে।
তিনি বলেন, "আজকে (বৃহস্পতিবার) যাদের নির্বাচিত করা হয়েছে সে বিষয়ে একটি সামারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে যাবে, রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত সেই সামারি যাবে। সেখান থেকে ফাইল নামার পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখা থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।"
সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এই কাজটি করা হচ্ছে জানিয়ে সচিব বলেন, "এটা শুধু একটি ছেলে বা একটি মেয়ের বিষয় নয়, তার পরিবারের রুটিরুজি, রোজগার। অনেকেই এটার পরে বিয়ে করবে। বাবা-মার সংসার, চিকিৎসা, তাদের লালিত আশা-আকাঙ্ক্ষা তড়িৎ গতিতে যাতে বাস্তবায়ন করা যায় সে জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। দুই-তিন দিনের মধ্যে তালিকা জানতে পারবেন।"
৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন কর্তৃক সুপারিশকৃত ২১৬৩ (দুই হাজার একশত তেষট্টি) জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮৯৬ (এক হাজার আটশত ছিয়ানব্বই) জন প্রার্থীর নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ২২৭ (দুইশত সাতাশ) জন প্রার্থীর সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বিরূপ মন্তব্য থাকায় তাদের নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।
নিয়োগ বঞ্চিতরা চলতি সপ্তাহ জুড়ে সচিবালয়ে বিভিন্ন দেন দরবার করছিলেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গেও তাদের বৈঠক হয়েছে। পরে মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন বঞ্চিতরা।
মন্ত্রণালয়ের এক ব্যাখ্যায় বলা হয়েছিল, একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে এই ২২৭ জন প্রার্থীর বিষয়ে ‘বিরূপ’ মন্তব্য পাওয়া যায় বিধায় তাদেরকে সাময়িকভাবে বাদ রেখে গত ৩০ ডিসেম্বর অবশিষ্ট ১৮৯৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হয়।