চাকরি ডেস্ক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: শুক্রবার , ৩১ জানুয়ারী , ২০২৫
বেকারত্বের সমস্যায় ভুগছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এমবিএ পাস করা ছাত্রছাত্রীদের কাজ পেতে রীতিমতো কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড এবং ওয়ার্টনের মতো আইভি লিগ কলেজ থেকে ডিগ্রি অর্জন করার পরও অনেকে চাকরির জন্যে হন্য হয়ে ঘুরছেন।
গত বছর হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে এমবিএ (স্নাতক) শেষ করা ২৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ৩ মাস পরও চাকরি পাননি। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ১০ শতাংশ। ২০২৩ সালে এক লাফে সেটি বেড়ে ২০ শতাংশে পৌঁছায়।
গত কয়েক বছরে ভারতের আইআইটি স্নাতকদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেড়েছে। এ দেশের পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ মিল রয়েছে। বিশ্বের বেকারত্ব নিয়ে একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন বা আইএলও)।
‘গ্লোবাল এমপ্লয়মেন্ট ট্রেন্ডস ফর ইয়ুথ ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে সারা দুনিয়ার তরুণ শ্রমশক্তির ১৩ শতাংশ কোনো কাজ পাননি। অর্থাৎ, বিশ্ব জুড়ে মোট বেকার যুবক-যুবতীর সংখ্যা ছিল ৬.৪৯ কোটি।
২০২০ সালের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিবেদন অনুসারে, চারজন পেশাদারের মধ্যে একজনই চাকরি পেয়েছেন এবং তারপর থেকে পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর কাছে জানিয়েছেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের কেরিয়ার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অ্যালামনি রিলেশনসের অধ্যক্ষ ক্রিস্টেন ফিটজপ্যাট্রিক। তিনি বলছেন, “চাকরির বাজার যে খুব ভালো, তা একেবারেই বলা যাবে না। সঠিক দক্ষতা থাকলেই যে কাজ পাওয়া যাচ্ছে, এমনটা নয়। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে হার্ভার্ডের ছাত্র বা ছাত্রীদের অনেক কোম্পানিই আর আলাদা নজরে দেখছে না।”
ওয়ার্টন এবং স্ট্যানফোর্ডের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা চাকরি না পাওয়া এমবিএ পড়ুয়ার সংখ্যা যথাক্রমে ২০ এবং ২২ শতাংশ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এ ছাড়া নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টার্ন স্কুল অফ বিজনেসের স্নাতকদের মধ্যে প্লেসমেন্টের সংখ্যা ক্রমশ কমছে বলে জানা গেছে।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে