প্রতিবেদক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: মঙ্গলবার , ২৮ অক্টোবর , ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে এক লাখ দক্ষ কর্মী নিয়োগের অগ্রগতি জানাতে জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো–অপারেটিভস (এনবিসিসি)–এর একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় রোববার (২৫ অক্টোবর) আয়োজিত বৈঠকে ২৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। এ সময় প্রবাসীকল্যাণ ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
৬৫টিরও বেশি জাপানি কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত এনবিসিসি সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওআই) স্বাক্ষর করেছে, যার লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরে জাপানে এক লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দেওয়া। কর্মীরা টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম (টিআইটিপি) ও স্পেসিফায়েড স্কিলড ওয়ার্কার্স (এসএসডব্লিউও) কর্মসূচির আওতায় যাবেন।
প্রতিনিধিদল জানায়, প্রথম ধাপে আগামী বছর দুই হাজার কর্মী পাঠানো হবে, পরের বছর ২০২৭ সালে ৬ হাজার এবং ২০২৮ সালে ১৮ হাজার কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্মাণ, সেবা, এভিয়েশন, গার্মেন্টস ও কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি কর্মীর চাহিদা থাকবে। এছাড়া ভবিষ্যতে গাড়িচালক, অটোমোবাইল ও রিসাইক্লিং খাতে নিয়োগ বাড়বে।
খুলনা ও গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সম্ভাব্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ চলছে বলে জানান তাঁরা। এনবিসিসি চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “সাত মাসে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবে ভাষাগত দক্ষতা আরও উন্নত করা দরকার।”
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেন, ভাষা প্রশিক্ষণ ভার্চ্যুয়াল ক্লাসের মাধ্যমে জোরদার করা যেতে পারে। তিনি নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দেন, বিশেষ করে কেয়ারগিভিং সেক্টরে, যেখানে বাংলাদেশের নারীরা “অত্যন্ত যত্নশীল ও পরিশ্রমী”।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, সরকার জাপানে কর্মী নিয়োগের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যালোচনা করছে এবং এ বিষয়ে একটি রোডম্যাপ ও বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে।