কিছু থাকলে সামনে আসবে, এপিএস মোয়াজ্জেম প্রসঙ্গে আসিফ
প্রিন্ট
প্রতিবেদক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: শনিবার , ২৬ এপ্রিল , ২০২৫
শেয়ার করুনঃ
নিজের সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের কোনো অনিয়ম থাকলে তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শনিবার মন্ত্রণালয়ের অধীন পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) একটি নিয়োগ পরীক্ষা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা একথা বলেন।
বেশ কয়েকদিন আগে সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেমের আবেদনের ভিত্তিতে তাকে অব্যাহতি দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আগে থেকেই বিভিন্ন অনিয়মের গুঞ্জনের মধ্যে থাকা মোয়াজ্জেমকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তখন কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করে।
এপ্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ বলেন, আমার সাবেক এপিএসকে নিয়ে অনেকগুলো কথা চলমান আছে। একটা নিউজ হয়েছিল যে, তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার প্রেক্ষিতে সেটা হয়েছিল।
মোয়াজ্জেমকে নিয়ে একটি বিশেষ শক্তিশালী মহলের চাপে গণমাধ্যমে সূত্রবিহীন খবর প্রকাশ হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, তিনি এবিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করবেন।
“৩০০ কোটি টাকার একটা নিউজ হয়েছে। এই নিউজটা কতটুকু ক্রেডিবল সেটা আপনারা একটু দেখবেন। সেখানে কোনো সোর্স নেই, ব্যক্তি সাক্ষ্য নেই। সেখানে ‘জানা গেছে’ বলা আছে অন্তত সাতবার,” বলেন আসিফ।
বিষয়টি নিয়ে তিনি ওই সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপ করার চেষ্টা করেছেন বলেও জানান।
বলেন, “যখন কথা বলেছি তখন বলা হয়েছে, বহিরাগত কোনো জায়গা থেকে লেখাটা দিয়ে চাপ দেওয়া হয়েছে প্রচার করার জন্য। সেই জায়গা থেকে অধিকতর সচ্ছতার জন্য দুদককে অনুরোধ করেছি তদন্ত করার জন্য। ইতোমধ্যেই দুদক তদন্ত শুরু করেছে। যদি কিছু থেকে থাকে সামনে আসবে, যদি নিছক গুজব হয় সেটাও সামনে আসবে।”
“আপনারা জানেন, কোথায় থেকে হাউজগুলোতে চাপ দেওয়া হয়। আগেকার সময় বিভিন্ন সংস্থা হাউজগুলোতে চাপ দিয়ে এক ধরনের নিউজ করাতো। এখন সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ দেওয়া হয় না। এখনও অনেকগুলো পাওয়ার হাউজ রয়ে গেছে, যেখান থেকে চাপ দিয়ে এই ধরনের নিউজ করানো হয়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানাবো, যাতে করে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও ফ্রিডম অব প্রেস থাকে,” বলেন আসিফ।
মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “১৬৬৫টি পদের বিপরীতে পরীক্ষা দিচ্ছেন দুই লাখ ৩ হাজার ৪৯৪ জন। প্রতি পদের বিপরীতে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১২২ জন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে প্রায় ৬০ হাজার শূন্য পদ আছে। এরমধ্যে অধিকাংশই স্বায়ত্ব শাসিত পৌরসভারগুলোতে। কিন্তু আমাদের মন্ত্রণালয়ের অধীনে যেগুলো আছে সেগুলোতে ৩৫০০ জনের সার্কুলার গিয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে এই মন্ত্রণালয়ে আরও ১০ হাজার নিয়োগ করবো।”
নতুন দলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে দেশের মানুষের একটা আকাঙ্খা তো আছেই। কিন্তু কোন দলে যুক্ত হবো, কখন যুক্ত হবে, সেই বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এটা ধরে নেওয়ার করণ নেই যে নতুন রাজনৈতিক দলেই যুক্ত হবো। যখন আমি রাজনীতি করার চেষ্টা করবো তখন আমার জন্য বেস্ট অপশনটাই বেছে নেবো।”
এই বিভাগের আরোও খবর
