প্রতিবেদক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: মঙ্গলবার , ৪ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫
সামুদ্রিক মাছে ব্যাপক মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ ধরা পড়েছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন রাজ্যে পোর্টল্যান্ড স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিএসইউ)-এর অ্যাপলাইড কোস্টাল ইকোলোজি ল্যাবের বিজ্ঞানীরা গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন।
সামুদ্রিক খাবারের ৯৯ শতাংশেই মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ ধরা পড়েছে বলে গবেষণা তথ্যের দাবি। পিয়ার-পর্যালোচিত এই গবেষণায় সামুদ্রিক খাবারের ১৮২টি নমুনার মধ্যে ৯৯%, অর্থাৎ ১৮০টি নমুনাতে মাইক্রোপ্লাস্টিক শনাক্ত হয়েছে।
এসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে দোকানের কেনা খাবার কিংবা অরেগনের মাছ ধরার নৌকা থেকে। গবেষণায় সবচেয়ে বেশি মাত্রায় মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে চিংড়িতে।
গবেষণা প্রতিবেদনে জানান, পোশাক বা টেক্সটাইল থেকে আসা ফাইবারও তারা শনাক্ত করেছেন। এই ক্ষুদ্র কণাগুলোর উপস্থিতি দেখা গেছে ৮০ শতাংশেরও বেশি।
পোর্টল্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটির মাইক্রোপ্লাস্টিক গবেষক ও গবেষণার সহ-লেখক এলিস গ্রানেক বলেন, “গবেষণার ফল বর্তমানে প্লাস্টিক ব্যবহারের মাত্রার মারাত্মক সমস্যা তুলে ধরেছে। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রধান উপাদান হিসাবে প্লাস্টিক ব্যবহার করতে থাকলে এবং ব্যাপকমাত্রায় তা করলে আমাদের খাদ্যেও এর উপস্থিতি দেখতে পাব।"
বিশ্বজুড়ে পানির নমুনাতেও মাইক্রোপ্লাস্টিক শনাক্ত হয়েছে এবং এই দূষণ মূলত খাবারেই প্রকট হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, পরীক্ষিত সব ধরনের মাংস এবং উৎপাদিত পণ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে।
মাইক্রোপ্লাস্টিকের বিষাক্ত উপাদান মস্তিষ্ক এবং প্লাসেন্টাল বাধা অতিক্রম করতে সক্ষম এবং হার্টের টিস্যুতে মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকার কারণে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকিও দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
গবেষক এলিস গ্রানেক বলেন, "প্ল্যাঙ্কটন প্রায়ই সমুদ্রের উপরিভাগে জমা হয়, এবং মাইক্রোপ্লাস্টিকও একইভাবে জোয়ারের সঙ্গে চলাচল করে। ফলে, সামুদ্রিক প্রাণীগুলো যখন প্ল্যাঙ্কটন গ্রহণ করে, তখন তারা অজান্তেই মাইক্রোপ্লাস্টিকও গ্রহণ করে।"