প্রতিবেদক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: শুক্রবার , ১৮ এপ্রিল , ২০২৫
হিমোফিলিয়া। যা জিনগত ত্রুটিজনিত রক্তরোগ। এই রোগ হলে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধে না। কোথাও ক্ষত হলে বা কেটে গেলে রক্ত ঝরতেই থাকে। রোগটি মূলত পুরুষের হয়ে থাকে।
দেশে হিমোফিলিয়া রোগীর মাত্র ১০ ভাগ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত ও চিকিৎসার বাইরে রয়েছেন ৯০ ভাগ রোগী। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, তাদের পরিবারের সদস্য ও চিকিৎসকদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য উঠে আসে।
বাংলাদেশে হিমোফিলিয়া ব্যবস্থাপনা, সমাজে এই রোগের প্রভাব ও চ্যালেঞ্জ–বিষয়ক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ।
গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল সেবা ব্যবস্থাপনা শাখার লাইন ডিরেক্টর জয়নাল আবেদিন।
তিনি বলেন, বৈশ্বিকভাবে পাঁচ হাজার মানুষের মধ্যে একজনের হিমোফিলিয়া দেখা দেয়। দেশে নিবন্ধিত হিমোফিলিয়া রোগী ৩ হাজার ২২৭ জন। রোগের ধরন ও বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনুসারে দেশে এই রোগে আক্রান্ত মানুষের অনুমিত সংখ্যা ৩০ হাজার। এর অর্থ বিপুলসংখ্যক রোগী এখনো শনাক্ত হয়নি। তারা চিকিৎসাও নিচ্ছেন না।
সরকারি এই কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে খুব কমসংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা বা সেবা দেওয়া হচ্ছে। ঠিকমতো শনাক্ত করা হলে রোগীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। দেশে হিমোফিলিয়া রোগের চিকিৎসাকেন্দ্র খুবই কম। কিছু ক্ষেত্রে ওষুধের সংকট আছে।
রক্তরোগবিশেষজ্ঞ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের রক্তরোগ বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক অখিল রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, হিমোফিলিয়া প্রতিরোধযোগ্য রোগ নয়। দক্ষতা থাকলে এই রোগ সহজে শনাক্ত করা যায়। তবে এই রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। প্রতি মাসে ৬ লাখ থেকে ৪৬ লাখ টাকা খরচ হতে পারে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক আমিন লুৎফুল কবীর।
গোলটেবিলে দেওয়া সরকারি তথ্য বলছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজধানীর উত্তরার বেসরকারি ওয়ান ল্যাবে হিমোফিলিয়ার চিকিৎসা হয়।