প্রতিবেদক, ক্যাম্পাস মিরর প্রকাশিত: মঙ্গলবার , ২৭ মে , ২০২৫
ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যানসার নারীদের একটি মারাত্মক রোগ। বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে এটি নারীদের ক্যানসারজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।
নির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ না থাকায় ডিম্বাশয়ের ক্যানসারকে বলা হয় সাইলেন্ট কিলার বা নীরব ঘাতক।
আহ্ছানিয়া মিশন ক্যানসার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. কুদরত-ই-ইলাহী বলেন, ডিম্বাশয় হচ্ছে নারীর প্রজনন অঙ্গের একটি অংশ, যা ডিম্বাণু উৎপন্ন করে। এ অঙ্গে অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধির ফলে ক্যানসার হয়। সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের ঝুঁকি বেশি। তবে এর চেয়ে কম বয়সেও হতে পারে।
ওভারিয়ান রোগের পেছনে যেসব কারণ রয়েছে
● পারিবারিক ইতিহাস অর্থাৎ পরিবারের কারও ক্যানসার থাকা (বিশেষ করে ব্রেস্ট বা ওভারিয়ান ক্যানসার)।
● বংশগত জেনেটিক মিউটেশন (যেমন বিআরসিএ১ ও বিআরসিএ১ জিন)।
● বয়স, বন্ধ্যত্ব বা দীর্ঘ মেয়াদে হরমোন থেরাপি।
● অতিরিক্ত ওজন।
লক্ষণ ও উপসর্গ
ওভারিয়ান ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ সাধারণত অস্পষ্ট থাকে এবং সহজেই উপেক্ষিত হয়। ফলে প্রায়ই রোগটি দেরিতে ধরা পড়ে। তবে নিম্নোক্ত উপসর্গগুলো দেখা দিলে গুরুত্ব দেওয়া উচিত :
● পেট ফোলা বা অস্বস্তি।
● ক্ষুধামান্দ্য বা দ্রুত পেট ভরে যাওয়া।
● তলপেটে ব্যথা।
● প্রস্রাবের তীব্রতা বা ঘন ঘন প্রস্রাব।
● অজানা কারণে ওজন হ্রাস।
● মাসিক চক্রে অস্বাভাবিকতা।
চিকিৎসা
ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের চিকিৎসানির্ভর করে এর স্তর (স্টেজ), ক্যানসারের ধরন ও রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর। সাধারণত সার্জারি (ডিম্বাশয় ও আশপাশের টিস্যু অপসারণ), কেমোথেরাপি ও প্রয়োজনে টার্গেটেড থেরাপি ব্যবহৃত হয়।
সচেতনতা ও প্রতিরোধ
ওভারিয়ান ক্যানসার প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা ও সময়মতো চিকিৎসা। যাদের ঝুঁকি বেশি, তাদের উচিত নিয়মিত স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, নিয়ন্ত্রিত ওজন ও সন্তান ধারণ ক্যানসারের ঝুঁকি কিছুটা কমাতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যসচেতন নারীদের উচিত নিজেদের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং প্রাথমিক লক্ষণগুলোকে অবহেলা না করা।